বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা প্রতিটি নাগরিকের শুধু আইনি দায়িত্ব নয়, বরং এটি একটি নৈতিক ও ধর্মীয় কর্তব্য। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও মিলেমিশে কাজ করাই ইসলামী মূল্যবোধের অন্যতম অংশ। তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী সর্বদা দেশের সকল সম্প্রদায়ের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে চায়।
তিনি আরও বলেন, দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার পাশাপাশি সমাজের উন্নয়নমূলক কাজ করা অপরিহার্য। সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি হলে কয়রা-পাইকগাছা উন্নয়নের জন্য একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে উঠবে। বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেন।শোষণ ও জুলুম থেকে মুক্ত হয়ে ন্যায়-ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। একইসঙ্গে ইসলামী আদর্শ অনুযায়ী আল্লাহর বিধানভিত্তিক একটি কল্যাণমূলক সমাজ গঠনের উপর তিনি জোর দেন। সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব ছাড়া বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয় বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
১ অক্টোবর (বুধবার) বিকেলে উপজেলার শ্রী শ্রী খড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কালী মন্দির প্রাঙ্গণে স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের খুলনা জেলা শাখার সহ-সভাপতি রতন কুমার মিত্র, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অনিমেষ সরকার রিন্টু, উপদেষ্টা ইন্দ্রজিত চক্রবর্তী, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কয়রা উপজেলা শাখার সভাপতি এ্যাডঃ অম্বিকা চরণ সানা, সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার বৈরাগী, শ্রীশ্রী গোবিন্দ জিউ ঠাকুর মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক প্রবীর রায়,কপোতাক্ষ কলেজের সহকারি অধ্যাপক বিদেশ রঞ্জন মৃধা, পুজা উদযাপন পরিষদ নেতা গোষ্ঠ বিহারী রায়, সরোজ রায়, শিক্ষক অসিত কুমার মণ্ডল, সুব্রত কুমার মিস্ত্রী, দুখেরাম মন্ডল, অশোক মণ্ডল, প্রধান শিক্ষক সুজিত রায় প্রমুখ ।
জামায়াতের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—কয়রা উপজেলা আমীর মাওলানা মিজানুর রহমান, সেক্রেটারি শেখ সায়ফুল্লাহ, নায়েবে আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা সুজাউদ্দীন আহমেদ, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উপজেলা সভাপতি মোল্যা শাহাবুদ্দীন শিহাব, কয়রা সদর ইউনিয়ন আমীর গাজী মিজানুর রহমান, মহারাজপুর ইউনিয়ন আমীর মাষ্টার সাইফুল্লাহ হায়দার ও সেক্রেটারি মাওঃ আওছাফুর রহমান, বাগালী ইউনিয়ন আমীর হাফেজ মাওলানা আব্দুল হামিদ, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়ন আমির মাষ্টার নূর কামাল,আমাদী ইউনিয়ন আমীর মাওলানা সাজ্জাদুল ইসলাম, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়ন আমীর আবু সাইদ, যুব বিভাগের সেক্রেটারি মোনায়েম বিল্লাহ, সদর ইউনিয়ন সভাপতি হাফেজ জাহিদুল ইসলাম, মাওঃ এনামুল করিম, নাঈমুর রহমান রকি, ইসমাইল হোসেন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এছাড়া কয়রা-পাইকগাছা অঞ্চলের ছুরি খালি (রামকৃষ্ণ) সার্বজনীন দুর্গাপূজা মন্দির, চান্নিরচক সার্বজনীন দুর্গাপূজা মন্দির, বাঁশখালী সার্বজনীন দুর্গাপূজা মন্দির, গাজিনগর সপ্তগ্রাম সার্বজনীন দুর্গাপূজা মন্দির, শ্রী শ্রী সনাতন ধর্ম মন্দির (কয়রা সদর), ৬ নং কয়রা সর্বজনীন দূর্গাপূজা মন্দির, ৬ নং কয়রা পূর্বপাড়া সার্বজনীন দুর্গাপূজা মন্দির, ,বড়বাড়ি সর্বজনীন দুর্গাপূজা মন্দির, এবং শ্যামখালি, চৌকোনী, ডাঙ্গাপাড়া, কলুখালি, লক্ষীখোলা ও খড়িয়া এলাকার সার্বজনীন দুর্গাপূজা মন্দিরসহ বিভিন্ন সার্বজনীন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন ও কুশল বিনিময় করেন।
এ জাতীয় আরো খবর..