এ সময় বাংলাদেশ জামায়াতে
ইসলামী কয়রা উপজেলা নায়েবে আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম,ইউনিয়ন আমীর হাফেজ আব্দুল
হামিদ, মোঃ সালাউদ্দিন, হাফেজ সাব্বির হোসেন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত
ছিলেন।সেখানে জামায়াত ইসলামীর নেতৃবৃন্দ দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম সম্পর্কে তাদের
অবগত করেন এবং সাংগঠনিক বই প্রদান করেন।
দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য কোহিনূর আলম বলেন, আমি দীর্ঘ ৩০ বছর
বিএনপি রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম। ইউনিয়ন
যুব দলের আহবায়ক ছিলাম। পরে ইউনিয়ন বিএনপি সদস্য সচিব ছিলাম।বাংলাদেশ জামায়াতে
ইসলামীর কর্মকাণ্ড, নীতি ও আদর্শ দেখে আকৃষ্ট হয়ে দলটিতে যোগদান করেছি।
সাবেক বিএনপি নেতা ওসমান গনি বলেন, আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি)
রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম।দীর্ঘ ২০-২২ বছর বাগালী ইউনিয়নের ০৩ ওয়ার্ড সভাপতির
দায়িত্ব পালন করেছি।আমি আখিরাতে নাজাতের
আশায় জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দিয়েছি।
খুলনা জেলা বিএনপির সদস্য এম এ হাসান বলেন, রাজনীতিতে সবার নিজস্ব মতামতের
অধিকার আছে। এছাড়া কে কোন দল করবে সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কোহিনুর আলম দক্ষিণ
বেদকাশী ইউনিয়ন যুব দলের আহবায়ক ছিলেন । তারপর বিতর্কিতভাবে ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য
সচিব হয়েছিলেন। তবে তারা বিএনপির রাজনীতি ছেড়ে যাওয়ার জন্য কোনো লিখিত পদত্যাগ
পত্র জমা দেয়নি।
কয়রা উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওঃ মিজানুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী
এই দেশে ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চায়। কেন্দ্রীয় আমির ডাঃ
শফিকুর রহমান ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দের কার্যক্রমে সন্তুষ্ট হয়ে অনেকেই জামায়াতে
ইসলামীর সহযোগী সদস্য হয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের
সাথে একমত পোষণ করে যে কেউ এই সংগঠনের সহযোগী সদস্য হতে পারবেন।