আমরা ফ্যাসিবাদ মুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। এদেশে আর কখনো নতুন করে ফ্যাসিবাদ মতাদর্শ প্রতিষ্ঠা করতে দেওয়া হবে না, ইনশাআল্লাহ। গত বছরের ৫ই আগস্ট এ দেশে ফ্যাসিবাদের কবর রচনা হয়েছে। ছাত্র জনতার বুকের তাজা রক্ত দিয়ে যে গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে তা ম্লান হতে দেব না।গুম,খুন,ধর্ষণ,হামলা,মামলা,বিচার বহির্ভূত হত্যা,মানি লন্ডারিং সহ এমন কোন অপরাধ নেই যা স্বৈরাচার হাসিনা ও তার দোসররা করে নি। অবশেষে সহস্রাধিক আহত ও প্রায় ২ হাজার ছাত্র জনতার বুলেটবিদ্ধ ক্ষত বিক্ষত লাশের রক্তের বিনিময়ে ৩৬ জুলাই (৫ আগষ্ট) এ দেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছিল।আর ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার ভারতের দাসী দিল্লিতে পালিয়ে আত্মরক্ষা করেছিল। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এদেশে আর রক্তের হোলি খেলা দেখতে চায় না।এদেশে কোন আধিপত্যবাদ ও ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার গড়ে উঠতে দেবে না।যারা নতুন করে ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে চাইবে তাদেরকে সমূলে উৎপাটন করা হবে বলে জানান জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ।
মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় কয়রা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে গণমিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মাওঃ আবুল কালাম আজাদ।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী কয়রা উপজেলা জামায়াতে ইসলামী বিশাল গণমিছিলের আয়োজন করে। মিছিলটি কয়রা উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদ মোড় থেকে শুরু করে বাসটার্মিনাল,ডাক বাংলো ও উপজেলা পরিষদ চত্বর প্রদক্ষিণ করে জিরো পয়েন্ট মোড়ে এসে শেষ হয়। গণমিছিলে কয়রা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর প্রায় সহস্রাধিক মানুষের সমাগম ঘটে। নেতাকর্মীরা দলীয় প্রতীক দাঁড়ি পাল্লা, জাতীয় পাতাকা,ফেস্টুন ও প্লাকার্ড সহ স্লোগানে জুলাই গণ অভ্যুত্থানের স্মৃতি ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেন।
কয়রা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওঃ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে গণমিছিল পরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাওঃ আবুল কালাম আজাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা সহকারী সেক্রেটারি এ্যাডঃ মোস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক অলিউল্লাহ, মাওঃ রফিকুল ইসলাম,মাওঃআবু তাহের প্রমুখ।
এ জাতীয় আরো খবর..