খুলনার কয়রায় ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি কমিটি(সিপিপির) উপপরিচালক জনতার হাতে অবরুদ্ধ । অবশেষে মুচলেকা দিয়ে মুক্তি পেলেন। সিপিপির আড়ালে আওয়ামীলীগকে পুর্নবাসনের অভিযোগে উপপরিচালকে অবরুদ্ধ করেছে স্থানীয় জনগন।
জানা গেছে, সিপিপির খুলনার উপ-পরিচালক গোলাম কিবরিয়া উপজেলা প্রশাসনসহ কাউকে না জানিয়ে ২৯ আগস্ট সকাল ১০ টায় সুন্দরবন বালিকা বিদ্যালয়ে কয়রা ইউনিয়নের সিপিপির সভার আয়োজন করেন। আওয়ামীলীগের আমলে করা ওই কমিটিতে নিষিদ্ধ ছাএলীগ ও আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা থাকায় স্থানীয় জনগন বিষয়টি জানতে পেরে উপ পরিচালককে সভা চলাকালে অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি) ঘটনা স্থলে যেয়ে অবরুদ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে।
পরবর্তীতে স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতা ও সাংবাদিকদের উপস্থিতে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হলে সেখানে তিনি তার ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং লিখিত মুসলেকা দিয়ে মুক্তি পান। সিপিপির নতুন করে কমিটি পূর্নগঠন না করা পর্যন্ত সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। তিনি কোন সভা না করে ৩ টা সভার বরাদ্দ ৩ লাখ টাকা তুলে আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। জানা গেছে, ২০০৮ সালে আওয়ামী সরকারের আমলে একতরফা ভাবে কয়রায় সিপিপির কমিটি গঠন করা হয়। দির্ঘদিন কমিটি পুর্নঃগঠন না করে সম্পৃতি ওই কমিটির অনুকুলে সেফটি সামগ্রী বিতরন করায় কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয় এবং ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। এমত অবস্থায় কাউকে না জানিয়ে অনেকটা চুপিসারে উপপরিচালক খামখেয়ালীপনা ভাবে ছুটির দিনে অতিগোপনে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাএলীগ ও আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের নিয়ে সভা করা অবস্থায় জনগন তাকে অবরুদ্ধ করে। কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল্লাহ আল বাকী জানান, প্রশাসনকে না জানিয়ে ছুটির দিনে তিনি উচ্ছা মাফিক সভা করা অবস্থায় স্থানীয় জনগন অবরুদ্ধ কর রাখে। খবর পেয়ে থানা অফিসার ইনচার্জসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সিপিপির খুলনার উপ পরিচালক গোলাম কিবরিয়া তিনি তার ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এবং কোন সভা না করে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাতের বিষয়ে তিনি বলেন, ভুলতো মানুষে করে তবে উচ্ছাকৃত ভুল নয়। এব্যাপারে সিপিপির পরিচালক (প্রশাসন) নাজমুল আবেদীন এর নিকট ফোন দিলেও তিনি রিসিফ করেননি।
এ জাতীয় আরো খবর..