খুলনা, বাংলাদেশ
রবিবার | ডিসেম্বর ২২, ২০২৪ | ১১:২০ রাত

কয়রার ভাগবা গ্রামে বসতবাড়িতে অতর্কিত হামলা

কয়রার ভাগবা গ্রামে বসতবাড়িতে অতর্কিত হামলা
কয়রার ভাগবা গ্রামে বসতবাড়িতে অতর্কিত হামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক | ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪ | শনিবার | রাত ৮:৫৭

খুলনার কয়রা উপজেলার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের ভাগবা গ্রামের আব্দুল হান্নান গাজীর বসতবাড়িতে একই গ্রামের আবু সানার ছেলে আব্দুর রহিম সানা (৪০)এর নেতৃত্বে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ৬ জনকে আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ২১ ডিসেম্বর (শনিবার) বেলা ১১ টার দিকে ভাগবা গ্রামের আব্দুল হান্নান গাজীর বসতবাড়িতে।


হামলায় নারী সহ আহতরা হলেন রবিউল গাজীর স্ত্রী ফিরোজা খাতুন, আব্দুল হান্নান গাজীর স্ত্রী ফরিদা , কেনা গাজীর ছেলে মুস্তাকিম, আবু মুসার ছেলে রবিউল, অজেদ গাজীর ছেলে আব্দুল হান্নান গাজী ও হান্নান গাজীর ছেলে ইবাদত গাজী । আহতদের থানা পুলিশ ও স্থানীয়রা উদ্ধার করে কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন । এদের মধ্যে হান্নান গাজী (৭০),ফরিদা (৫৮) ও ইবাদত (২৮) এর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার রাকিব হাসান জানান , আহত তিন জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার বিষয় জানতে চাইলে আব্দুর রহিম সানা জানান, আমার ধান চুরির ব্যাপারে তাদের কাছে জিজ্ঞাসা করতে গেলে তারা আমাদের ৫ জনকে মেরে আহত করে । আহতদের নাম জানতে চাইলে রবিউল ইসলাম(২৬),হাবিবা (৩০) ও রায়হান(২২) এর নাম বললেও বাকীদের নাম জানাতে পারেননি। তবে তিনি প্রথমে জানান আমি তাদের কাছে একা জিজ্ঞাসা করতে গিয়েছিলাম। এব্যাপারে আব্দুল হান্নান গাজীর নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, স্থানীয় রহিম সানার নেতৃত্বে পার্শ্ববর্তী আমাদী ইউনিয়ন থেকে ভাড়াটিয়া সন্ত্রসীরা ৭ থেকে ৮ টা মোটরসাইকেল যোগে ২০ থেকে ২৫ জনের একটি দল আব্দুল হান্নান গাজীর বাড়ির সামনে এসে পৌছায়। এর পর তারা আব্দুল হান্নান গাজীর বসতবাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে বেধড়ক মারপিট শুরু করে । এ সময় তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে বাধা দেওয়ায় পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা চালিয়ে ৬ জনকে আহত করে এবং আব্দুল হান্নানের বাড়ির মালামাল তছরুপ এবং মুল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায় । তাদের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে ঘটনাস্থলে ২ টি মটরসাইকেল রেখে সন্ত্রসীরা পালিয়ে যায়, গাড়ী ২ টি উত্তেজিত জনতা ভাংচুর করে। এই ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে । কয়রা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিএম ইমদাদুল হক জানান, আহতদের চিকিৎসার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে।