খুলনার কয়রা উপজেলায় কয়রা নদী (বদ্ধ জলমহল) জোরপূর্বক দখল ও অর্থ আত্মসাত সংক্রান্ত মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলার খড়িয়া মঠবাড়ী গ্রামের মৎস্য ব্যবসায়ী মোঃ সিরাজুল ইসলাম। এ সময় তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টায় কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সিরাজুল ইসলাম বলেন , গত ৯ সেপ্টেম্বর হায়াতখালী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সেরাজুল ইসলাম গাজী তার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কয়রা নদী বদ্ধ জলহল দখল এবং ১২ লক্ষ টাকা আত্মসাতের যে অভিযোগ করেছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। তিনি বলেন, প্রকৃত ঘটনা হলো যে, চলতি ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দুই বছর মেয়াদে কয়রা নদী অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে আমাকে পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেই চুক্তি অনুযায়ী আমি নিজ খরচে সেখানে মাছ চাষ করে আসছি এবং চুক্তির কোনো শর্ত আমি ভঙ্গ করিনি।
সিরাজুল ইসলাম দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে যে ১২ লক্ষ টাকা পাওনা থাকার অভিযোগ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও মনগড়া। তিনি এই ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য প্রশাসনের কাছে জোরালো দাবি জানান । তিনি চান, চুক্তি অনুযায়ী সে যেন শান্তিপূর্ণভাবে সাছ চাষ করে তার ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন। একটি স্বার্থনেষি মহলের ইন্ধনে তারা আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে হয়রানী করছে। শুধু তাই নয় এলাকাবাসীকে ভুল বুঝিয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমুলক মানববন্ধন করেছে।আমি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ সকল অভিযোগের তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এ ছাড়া প্রকৃত ঘটনাটি তদন্তপুর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।
এ জাতীয় আরো খবর..