খুলনা, বাংলাদেশ
মঙ্গলবার | এপ্রিল ০৮, ২০২৫ | ০৩:১৮ রাত
logo

কয়রায় চাঁদা না পেয়ে হিন্দু ইউপি সদস্যকে হত্যার হুমকি

কয়রায় চাঁদা না পেয়ে হিন্দু ইউপি সদস্যকে হত্যার হুমকি
কয়রায় চাঁদা না পেয়ে হিন্দু ইউপি সদস্যকে হত্যার হুমকি

নিজস্ব প্রতিবেদক | ২৯ মার্চ, ২০২৫ | শনিবার | রাত ৮:০৬

খুলনার কয়রা উপজেলার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব এস কে গালিব ও মুখ্য সংগঠক ইমদাদুল হক টিটুর বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ করেছেন উপজেলার উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের হিন্দু ইউপি সদস্য গনেশ চন্দ্র মন্ডল।

ভুক্তভোগী ইউপি সদস্য গনেশ চন্দ্র মন্ডল বলেন,গত ২৩ মার্চ রাত ১ টার সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়রা উপজেলার সদস্য সচিব গালিব ও মুখ্য সংগঠক ইমদাদুল হক টিটুর নেতৃত্বে ১১/১২ জন ছেলে আমার বাড়িতে আসে।আমি বাড়িতে না থাকায় আমার স্ত্রীর সাথে দুর্ব্যবহার করে। এক পর্যায়ে আমার অবস্থান জানতে চায় এবং ঈদে উপরের চাপ আছে বলে জানায়।তারা আমার স্ত্রীকে বলে আগামী ২৯ তারিখের মধ্যে ১ লক্ষ টাকা দিতে হবে । নইলে আমার বাড়িঘর ভাঙচুর ও দুনিয়া ছাড়া করবে।

গত২৭ মার্চ সকালে  ০১৯১২-৬৯১৪১৪ ফোন দিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করলে মারধর করবে বলে আবার হুমকি দিয়েছে।আমি প্রাণের ভয়ে এলাকা ছেড়ে চলে এসেছি এবং ব্যবহৃত ফোন নং বন্ধ করে রেখেছি।আমার বাড়ি নদী তীরবর্তী এলাকায় হওয়ার আমার পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত আছি‌।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কয়রা উপজেলার সদস্য সচিব এসকে গালিবের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে চাঁদাবাজি ও মার পিটের অভিযোগ এনে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছিলেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আমিন এন্ড কোং এর ম্যানেজার রাসেল মোল্লা। একাধিক সংবাদপত্রের শিরোনাম হলেও  অজানা কারণে সংগঠন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলে জানিয়েছেন কয়েকজন নেতা।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়রা উপজেলার মুখ্য সংগঠক ইমদাদুল হক টিটু বলেন, আমি কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সাথে কথা বলেছি।তবে কোন টাকা চাই নি। গনেশ চন্দ্র মন্ডলের বাড়িতে যায় নি, উওর বেদকাশী ইউনিয়নের কাটকাট বাজারে তার সাথে দেখা করেছিলাম।

বিষয়টি জানতে চাইলে সদস্য সচিব এসকে গালিব অস্বীকার করেন এবং তার বিরুদ্ধে পত্রিকায় লেখালেখি করলে তার অনুসারীরা মারধর করবে বলে সাংবাদিকে সর্তক করে দেন।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়রা উপজেলার আহ্বায়ক গোলাম রব্বানী বলেন, কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উওর বেদকাশী ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার গনেশ চন্দ্র মন্ডল বিষয়টি মুঠোফোনে জানালে আমি টাকা দিতে নিষেধ করেছি এবং গনেশ মেম্বারকে থানার লিখিত অভিযোগ করতে বলেছি। তাছাড়া বিষয়টি জেলা নেতৃবৃন্দকে জানিয়েছি। অভিযোগের সত্যতা পেলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ  জি এম ইমদাদুল হক বলেন, উওর বেদকাশী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য গনেশ চন্দ্র মন্ডল ফোনে বিষয়টি জানিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।