
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ·
- খুলনাঞ্চল
- ·
- ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | বিকাল ৬:১৩
নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | বুধবার | বিকাল ৬:১৩
১৯ ফেব্রুয়ারী(বুধবার) বেলা ১১ টায় কয়রা উপজেলা প্রেসকাবে সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন, সম্প্রতি দুটি আঞ্চলিক পত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পুর্ন মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে আমার রাজনৈতিক প্রতিপরা আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে ও দলীয়ভাবে ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য উদ্দেশ্য প্রনোদিত সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে। সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে বিএনপি নেতা এম এ হাসানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দখল, টেন্ডারবাজি, আওয়ামীলীগ আমলে সুবিধাভোগ করার অভিযোগ রয়েছে । সংবাদটি আদৌও সত্য নয়। এধরণের কোন কাজের সাথে আমি কোন দিন জড়িত ছিলাম না। এখনও নেই। উক্ত সংবাদে যে সকল ব্যাক্তিদের বক্তব্য প্রদান করা হয়েছে তারা প্রতিবেদককে ঐ ধরনের কোন বক্তব্য প্রদান করেনি। প্রতিবেদক তার মনগড়া বক্তব্য প্রদান করেছে। উক্ত সংবাদে যাদের বক্তব্য প্রদানকরা হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে তারা উপস্থিত হয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানায়। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, আমি ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে ২৫ বছরের অধিকসময় বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত। আমার বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদে আত্মীয়-স্বজনের রাজনীতির সুবিধাভোগি বলা হয়েছে। অথচ বিগত ১৬ বছরে স্বৈরাচার সরকারের আমলে ৫ টি মামলার আসামী হয়েছি। ২ বার জেল খেটেছি। ২০১৩ সালে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচী চলাকালিন সময়ে আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা হামলা করে বিএনপি অফিস ভাংচুর করে এবং আমাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে খুলনা জেলখানা থেকে আমার দুপায়ে ডান্ডাবেড়ী দিয়ে রিমান্ডের উদ্দেশ্যে কয়রা থানায় আনা হয়। এবং গভীর রাতে অসংখ্যবার আমার বাড়িতে পুলিশ হানা দিয়ে তছনছ করেছে। আমার রাজনৈতিক প্রতিপরা আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য মিথ্যা ভিত্তিহীন তথ্য প্রদান করে এ ধরনের বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করেছে। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো তদন্ত করলে মিথ্যা প্রমানিত হবে। সম্প্রতি কয়রা উপজেলা বিএনপির কমিটি গঠন করার ঘোষণা দেওয়ায় পর আমার জনপ্রিয়তা দেখে আমার প্রতিপরা এই অপপ্রচার চালাচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমি উক্ত মিথ্যা সংবাদের তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সংবাদ সম্মেলন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।