
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ·
- খুলনাঞ্চল
- ·
- ৯ মার্চ, ২০২৫ | দুপুর ২:৩২
নিজস্ব প্রতিবেদক | ৯ মার্চ, ২০২৫ | রবিবার | দুপুর ২:৩২
লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছেন,গত ৫ বছর পূর্বে মোকলেছুর রহমান লিটনের মেয়ে মিমের সাথে তার বিবাহ হয়।বিবাহের পর হইতে কিছুদিন ঘর সংসার করাকালীন অবস্থায় জীবিকার তাগিদে বাইরে থাকার সুযোগে মোবাইলে পর-পুরুষের সাথে তার স্ত্রী পরকিয়া প্রেমে জড়াইয়া পড়ে সংসারের প্রতি উদাসিন ভাব দেখায় এবং এক পর্যায়ে তার সাথে ঘর সংসার করিবে না বলে জানায়।
তিনি লিখিত অভিযোগে আরও বলেন,আমার ও আমার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে স্ত্রী মিম উক্ত পরকিয়া প্রেমের বিষয় নিয়া মনোমালিন্য সৃষ্টি করে সংসারে প্রায় সময় ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টি করিতে থাকে। আমার স্ত্রী তার পরকিয়া প্রেমিক রাকিবের সাথে অন্তরঙ্গ মুহূর্তে এলাকাবাসীর কাছে ধরা পড়ে।বিষয়টি সুরহা করতে শশুর মোকলেছুর রহমান লিটনকে জানায়।
এমতাবস্থায় বিগত ইং ০৫/০৩/২০২৫ তারিখ ভোর অনুমান ৫.০৬ ঘটিকার সময় আমি ফজরের নামাজ পড়িতে মসজিদে গেলে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পরকিয়া প্রেমিক রাকিবের সাথে পালিয়ে যায়।আমি প্রতিবেশী ও আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে শশুর মোকলেছুর রহমান লিটনকে মুঠোফোনে জানায়। এছাড়া তার ব্যবহৃত ব্যক্তিগত মুঠোফোন নম্বরটি বন্ধ রয়েছে।
উল্লেখ্য,০৭/০৩/২৫ তারিখে মেয়ের বাবা মোখলেছুর রহমান লিটন বাদী হয়ে কয়রা থানায় মেয়ে জামাই রাসেল আহমেদ ও তার মা-বাবার বিরুদ্ধে মেয়েকে মারধর ও যৌতুক অভিযোগ দায়ের করে।
মেয়ের পিতা মোকলেছুর রহমান লিটন বলেন,আমার সাথে মেয়ের কোন যোগাযোগ হয় নি, ফুফাতো ভাই বলতে পারবে। আমার ছোট ভাই ইউনুস আলী একটি লিখিত অভিযোগ নিয়ে থানায় জমা দিয়েছেন।তবে মেয়ের পরকিয়া প্রেমের বিষয়টি নিয়ে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ ইমদাদুল হক বলেন, মেয়ের পিতা ও স্বামী উভয় পক্ষ লিখিত অভিযোগ করেছেন।আমরা মেয়েকে উদ্ধারের চেষ্টা করছি।তবে মেয়ের বাবাকে অপমান করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,এ ধরণের কোন ঘটনা ঘটেনি।মেয়ের চাচা যুবদল নেতা ইউনুস আলী লিখিত অভিযোগটি নিয়ে আসলে তাকে তথ্য দিতে সহযোগিতা করার কথা বলেছি।